April 12, 2024

রাখী সাওয়ান্ত মানেই এন্টার্টেনমেন্ট। তাঁকে বলিউডের ‘ড্রামা কুইন ‘ বলা হয়। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জোরে আজ রাখী বলিউডের মত জায়গায় খ্যাতি লাভ করেছেন। তবে বিতর্ক এবং সমালোচনা রাখীর আজীবনের সঙ্গী। যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। ভাগ্য যদি মানুষের সাথে সহায় থাকে তাহলে সেই মানুষ সাফল্য পাবেই। এ কথা আরো একবার প্রমান করেছেন রাখী সাওয়ান্ত। একটা সময় মুকেশ আম্বানির পরিবারের পরিচারিকার ছিলেন তিনি। আর আজ সেই মেয়ে নিজের অভিনয় এবং নৃত্য শৈলী দিয়ে অজস্র ভারতবাসীর মন জায়গা করে নিয়েছেন।

রাখি অত্যন্ত সাধারণ এবং গরীব পরিবারে মেয়ে। তাঁর মা ছিলেন হাসপাতালের একজন পরিচারিকা এবং বাবা পুলিশ কনস্টেবল। অত্যন্ত রক্ষণশীল ছিল তাঁর পরিবার রাখী ছোটবেলা থেকেই নাচতে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু তাঁর পরিবার কখনো তাঁকে নাচের জন্য অনুমতি দেননি। এমনকি তাঁর কাকা তাঁর চুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে তিনি কোন নাচে অংশগ্রহণ করতে না পারেন। কিন্তু রাখী সাওয়ান্ত নিজের স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বলিউডে কাজ করা ছিল তাঁর স্বপ্ন। কিন্তু বলিউডে কাজ পাওয়াটা এতটা সহজ ছিল না। দশ বছর বয়সেই মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানি এবং টিনা মুনিম এর বিয়ের সময় তিনি মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে ওয়েট্রেসের কাজ করেছিলেন।

প্রতিকূলতা এসেছে তবে রাখী হার মানেননি। প্রথমদিকে বলিউডে ছোটখাটো আইটেম সংয়ের সাথে তিনি নাচতেন। এছাড়া ছোটখাটো চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছেন। কিং খান শাহরুখ খানের ‘ম্যায় হু না’ ছবিতে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করে তিনি লাইমলাইটে আসেন। এছাড়াও গায়ক মিকা সিং তাঁকে প্রকাশ্যে চুম্বন করেন। এই ঘটনার পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। এই ঘটনায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে গভীর প্রভাব পড়ে। পরবর্তীকালে ‘রাখি সাওয়ান্ত কা স্বয়ংবর’, ‘বিগ বস সিজন ১৪’ ইত্যাদি রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণ করে তিনি তুমুলভাবে সমালোচিত হয়েছেন। হিন্দি ছাড়াও তেলেগু, মারাঠি, তামিল, কন্নর ইত্যাদি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে বলিউডে বিতর্কের আরেক নাম রাখী সাওয়ান্ত। এই বিতর্কের জন্যই তাঁর এত জনপ্রিয়তা।

রাখীর আসল নাম নিরু ভেদা। বলিউডে আসার পরে তিনি তাঁর নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন। আমেরিকার নিবাসি এন আর আই রীতেশকে তিনি বিবাহ করেছেন। কিন্তু দীপক কালারের সাথে লাইভ ফুলশয্যা করে তিনি চরম বিতর্কিত হয়েছেন। রাখীকা সয়ংবর অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী ইলেশ পারুজনওয়ালার সাথে তাঁর এনগেজমেন্ট হয়। পরে তাঁদের সম্পর্ক অতি তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। এক সাক্ষাৎকারে রাখি বলেছিলেন শুধুমাত্র টাকার জন্যই ইলেশ এই এনগেজমেন্ট করেছিলেন। এক কথায় বলতে গেলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বিতর্কিত। ২০১৪ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় আমজনতা পার্টির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এখানে তিনি হেরে যান। পরবর্তীকালে তিনি আর পি আই তে যোগ দিয়েছিলেন এবং এই দল থেকে তাঁকে রাজ্যের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও করা হয়েছিল।