April 20, 2024

ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা বলে মনে করা হয়। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতা জয়ের হওয়ার পর কেটে গিয়েছে অনেক বছর। অথচ ঐশ্বর্য যেন দিনে দিনে আরও সুন্দরী হয়ে উঠছেন। এহেন সুন্দরীর সৌন্দর্যের আসল রহস্যটা কী?

ঐশ্বর্য রাই এখন পুরোদস্তুর সংসারী। অভিষেক বচ্চনের সাথে বিয়ের পর কন্যা আরাধ্যাকে জন্ম দিয়েছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় ও তারপরেও বেশ কিছুদিন ঐশ্বর্য ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এই কারণে তিনি ট্রোলড হয়েছিলেন। অন্তস্বত্তা হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চুল। অনেক চুল পড়ে যায় তাঁর। তবে আবারও ধীরেধীরে নিজের ওজন ঝরিয়েছেন ঐশ্বর্য। পাশাপাশি নিজের সৌন্দর্য রেখেছেন অটুট। ঐশ্বর্যর বিউটি সিক্রেট কি তা নিয়ে জিজ্ঞাসার শেষ নেই মহিলাদের।

আগে ঐশ্বর্য তাঁর চুলে শুধুই নারকেল তেল গরম করে লাগাতেন। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় তাঁর প্রচুর চুল পড়ে যায়। এজন্য তিনি নারকেল তেলের সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখেন সারারাত। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলেন। এর ফলে তাঁর চুল পরিষ্কার থাকে এবং খুশকি হয় না।

এছাড়া প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নেন তিনি। নিয়মিত ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করেন ঐশ্বর্য। বাড়িতে তৈরি ফেসপ‍্যাক দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখেন তিনি। বহুদিন ধরেই বেসন, দুধ ও হলুদের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি একটি ফেসপ‍্যাক ব্যবহার করেন ঐশ্বর্য। এই ফেসপ‍্যাকটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি উজ্জ্বল করে তোলে। এরপর মধু ও টক দই-এর মিশ্রণ দিয়ে ত্বককে ম্যাসাজ করেন ঐশ্বর্য। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। একটি সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, তিনি ত্বকের যত্ন নিতে অ্যারোমাথেরাপির উপর ভরসা করেন। এর ফলে তাঁর মনও ভালো থাকে। এছাড়াও ঐশ্বর্য ভিটামিন সমৃদ্ধ সবুজ শাক-সব্জি খেতে পছন্দ করেন। প্রতিদিন পান করেন প্রচুর পরিমাণে জল। নিজের মেয়ে আরাধ্যাকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াতে ভোলেন না।