April 19, 2024

সবুজ সবজি করলা তেতো হলেও এর প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর মধ্যে অনেক রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান রয়েছে যা মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বাজারজাত সবুজ শাকসবজির চেয়ে বাড়িতেই যদি প্রাকৃতিকভাবে সবজি চাষ করা যায় তাহলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। বাড়িতেই খুব সহজেই ফলানো সম্ভব এই সবজি।

তেতো এই সবজিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ , ভিটামিন এ এবং সি। এই সবজিতে যে এন্টি অক্সিডেন্ট-ভিটামিন ,এ এবং সি রয়েছে তা অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধকারী লুটিন এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য উপযোগী লাইকোপিন। এছাড়াও করলা শরীরের খারাপ কোলেস্টোরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বাড়িতে করলা চাষ করতে গেলে প্রয়োজন উপযুক্ত মাটি এবং গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
১. প্রথমে দোআঁশ এবং গোবর সার মিশিয়ে চাষের উপযুক্ত মাটি তৈরী করে নিতে হবে। এই বার চারাগুলিকে মাটির মধ্যে দুই থেকে তিন ইঞ্চি গর্ত করে পুঁতে দিতে হবে এবং মাটিকে জল দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে।

২. ২০ দিন পরে গাছের চারাগুলি বড় হয়ে গেলে গাছের নিয়মিতভাবে যত্ন নিতে হবে। কোদাল দিয়ে গাছের আশেপাশের জমি হালকা করে কুপিয়ে নিলে শিকড়গুলি তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। এই অবস্থায় সার দিলে তা তাড়াতাড়ি গাছের গোড়ায় পৌঁছতে পারবে।

৩. রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফলন বাড়াতে গেলে গোবর সারের ব্যবহার করতে হবে। তবে এই সারের ব্যবহারে ফলন একটু ধীরে হবে।

৪. ২০ গ্রামের মত ‘টিএসপি’ সার গাছের গোড়ায় দেওয়ার পরে ৫ থেকে ৮ গ্রাম ফুরাডান দিতে হবে। এর সাথে দিতে হবে ৮ থেকে ১০ গ্রাম ইউরিয়া। সব সার দেওয়ার পরে গোবর সার দিয়ে গাছের গোড়াকে মাটি দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে। সার দেওয়ার তিনদিন পর থেকে শুধুমাত্র জল দিয়ে যেতে হবে গাছে।

৫. ৪০ দিনের মধ্যে গাছ বড় হয়ে গেলে মাচা বেঁধে দিতে হবে। এইভাবেই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে করলা গাছ।

প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে এইভাবেই করলা চাষ সম্ভব। প্রতিদিনই সবুজ এই সবজির পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে ঘরে বসেই।