April 17, 2024

বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে কাঠ করবীর গাছ থাকলে তা গৃহ শান্তি মেটাতে এবং লক্ষীর কৃপাদৃষ্টি লাভে সহায়তা করে। জীবনের নানা রকমের সমস্যা সমাধানের উপায় রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এইসব উপায়ের সাহায্যে খুব সহজেই গৃহদোষ কেটে গিয়ে সুখ শান্তি এবং অর্থনৈতিক সাফল্য আসে।

মূলত তিন প্রকার ফুল দেখতে পাওয়া যায় এই গাছটির। বিভিন্ন রঙের ফুলের মাহাত্ম্য বাস্তু মতে বিভিন্ন। করবী মূলত লাল গোলাপি বা সাদা ফুলবিশিষ্ট চিরহরিৎ গুল্ম। অনেকেই এই গাছকে বন্য উদ্ভিদ বলে মনে করলেও সেটা ভুল তথ্য। কারণ বাস্তুমতে এই গাছটি লক্ষী দেবীর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। আলাদা করে কোন যত্ন ছাড়াই এই গাছ জন্মাতে পারে এবং বৃদ্ধি পায়। পার্ক কিংবা রাস্তার পাশে প্রায়শই এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাড়িতে এই গাছ রাখতে পছন্দ না করলেও বাস্তুমতে আলাদা তাৎপর্য রয়েছে এই গাছটির।

কাঠ করবী গাছের সাদা ফুল বাস্তু মতে দেবী লক্ষীর প্রিয়। অন্যদিকে ভগবান বিষ্ণু পছন্দ করেন হলুদ রং। তাই সাদা ফুল দেবী লক্ষীকে নিবেদন করলে তিনি সন্তুষ্ট হবেন। অন্যদকে হলুদ ফুল দিয়ে পুজো করলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপাদৃষ্টি পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বাস্তুবিদরা। তাই বাস্তুমতে যাঁরা অর্থকষ্টে রয়েছেন তাঁরা এই গাছ রোপন করলে ভাল ফল পাবেন।

তবে এই গাছটিকে বাড়ির উত্তর কিংবা উত্তর-পূর্ব দিকে রোপন করলেই মা লক্ষীর আশীর্বাদ পাওয়া যাবে। বাড়িতে শুভ অনুষ্ঠানের আগে কাঠ করবী গাছ বাড়িতে আনলে বিষ্ণুদেবতার আশীর্বাদে সম্মান এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। এই গাছ বাড়িতে থাকলে ইতিবাচক শক্তির বিকাশ ঘটবে । বাড়ির প্রবেশ দ্বারের কাছে এই গাছ রোপন করলে বহু সমস্যা কেটে যায় এবং বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ বাস্তুবিদরা। এই গাছে সারা বছর ফুলের সমাহার দেখতে পাওয়া যায়।

তাই একবার রোপন করলে সারা বছর যেমন ভগবানের পুজোর জন্য ফুল পাওয়া যাবে তেমনি অর্থকষ্টও থাকবে না। আর্থিক দিক থেকে এই গাছটি ভাল হলেও এই গাছের ফুলের বীজ খুব বিষাক্ত। সেই কারণে শিশুরা যাতে এই গাছের কাছে যেতে না পরে সেইদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

Disclaimer : বাস্তুবিদদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং মতামত অনুযায়ী প্রতিবেদনটি লিখিত। ব্যক্তিবিশেষে এর ফলাফল আলাদা হতে পারে। সংবাদ২৪অনলাইন এই তথ্যের সত্যতা বিচার করেনি। এক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ আবশ্যক ।