April 19, 2024

পার্থ-অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হওয়ার পর থেকে তাঁদেরকে নিয়ে মানুষের উত্তেজনা, কৌতূহলের শেষ নেই। বর্তমানে ইডি হেফাজতে আছেন পার্থ ও অর্পিতা। কান্নায় ভেঙে পড়ে অর্পিতা বারবার বলেছিলেন, “আর পারছি না”। অন্যদিকে, পার্থ বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার”। “ষড়যন্ত্র হয়েছে, সময় এলেই জানতে পারবেন।”

সম্প্রতি, জানা গিয়েছে যে অর্পিতার কাছে দুটি জিএসটি নম্বর আছে। যার একটি রেজিষ্টার রয়েছে নেল আর্ট পার্লারের নামে, অন্যটির কোনো হদিস নেই। ইডির ধারণা, জাল জিএসটি নম্বর ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়া অর্পিতার গ্যারেজে ছিল চারটি দামী বিলাসবহুল গাড়ি। যার মধ্যে চারটি গাড়ি রাতারাতি উধাও হয়ে যায়।

এবারে, ইডির স্ক্যানারে এসেছে বারাসাতের একটি টেক্সটাইল সংস্থাও। নাম – সাহা টেক্সটাইল। পার্থ বেশ কয়েকবার সাহা টেক্সটাইলের দোকানে গিয়ে প্রচুর শাড়ি কিনেছেন। সেই ব্যাগের মধ্যে শাড়ি ছিল নাকি টাকা সেই নিয়েই তদন্ত শুরু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও দু’বার সাহা টেক্সটাইলে রেড হয়, কিন্তু সেগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। এবারে, ইডি-র নজরে রয়েছে সাহা টেক্সটাইলের কর্ণধার কান্তি সাহা।

কান্তি সাহা বারাসতে একচেটিয়া ব্যাবসা করছেন। এখনও পর্যন্ত তিনটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলেছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। একই সাথে প্রচুর বেনামী জমি, সম্পত্তির মালিক তিনি। অন্যান্য শাড়ি প্রতিষ্ঠানের থেকে অনেকটা এগিয়ে এই সংস্থা। প্রায় রাতারাতি দোকান, একাধিক বাগানবাড়ি, জমি, সোনার গয়নার মালিক হয়ে গিয়েছেন কান্তি সাহা। সূত্র অনুসারে, আপাতত ফেরার সাহা টেক্সটাইলের কর্ণধার। খুব সম্ভবত বাংলাদেশে আত্মগোপন করেছেন তিনি।